মোঃ রহমত উল্যাহ পাটোয়ারী,রামগঞ্জ কন্ঠ,৭জুনঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের দ্বন্ধে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। ঠিকাদার দাবী করছেন মেয়র তাঁর পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় কৌশলে দীর্ঘ ৭ মাস যাবত নোয়া ও ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না, তাই তিনি কাজ করতে পারছেন না। পৌর মেয়র দাবী করছেন উক্ত ঠিকাদার পূর্বে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ না করায় লাইসেন্সটি কালো কালিকাভূক্ত করা হয়েছে,রি- টেন্ডার করে উন্নয়ন কাজ গুলি করা হবে।এ দিকে দীর্ঘদিন যাবত খানাখন্দে ও জলাবদ্ধতায় চলাচলে সমস্যায় পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
সূত্রে জানা যায়, সরকারীভাবে নগর উন্নয়নের প্রকল্পের আওতায় রামগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব কাজিরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দেওয়ান বাড়ির রাস্তা, সোনাপুর চৌরাস্তার ড্রেন,বাজারে ড্রেন, জিয়া শপিং থেকে বিরেন্দ খাল পর্যন্ত ড্রেন, শ্রীপুর আজিজ ড্রাইভার বাড়ির রাস্তা, মধ্য টামটা হাবিব উল্লাহ পাটোয়ারী রাস্তা, আগুনখিল মুনসী বাড়ি ঈদগাও রাস্তাসহ ৯টি ওয়ার্ডে ২১ টি রাস্তা, ড্রেন নির্মান ও মেরামতের জন্য গত বছর ১১টি গ্রুপে ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ইজিপি টেন্ডার আবেদন করা হয়। তখন মেয়র পৌরসভার লিস্টেট নিজের পছন্দের জয় এন্টারপ্রাইজ, এস এস ট্রেডার্স, এনবি ট্রেডার্স , আলমগীর ট্রেডার্স এ ৪টি লাইসেন্স ব্যতিত প্রায় ২১টি লাইসেন্স নবায়ন করেন নি। এ দিকে শান্ত এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর শরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী নিদিষ্ট সময় পে-অর্ডার কেটে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেন । ওই ৪টি থেকে শান্তা ট্রেডার্স লয়েস্ট হওয়ায় সবগুলি কাজ পায়। এতে মেয়র ক্ষীপ্ত হয়ে শান্তা ট্রেডার্সকে নোয়া,ওয়ার্ক ওয়াডার না দিয়ে রি-টেন্ডার করার জন্য সময় ক্ষেপন করছেন।
ফয়েজ, ,রাজু আহম্মদ, আনোয়ার হোসেন,জহিরুল ইসলামসহ পৌরবাসী জানান, রাস্তাগুলি সংস্কার না হওয়ায় ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত জনগন চলাচলে ভোগান্তি। শুনছি গত বছর কাজগুলি টেন্ডার হয়েছে, কিন্তু এখনো রাস্তা গুলি সংস্কার হয়নি। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে। সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপে দ্রুত উন্নয়ন কাজগুলি করার জোর দাবী করছি।
শান্তা ট্রেডার্সের প্রোপাইটার শরিফ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, আমি ইজিপি টেন্ডারে লয়েস্ট হওয়ায় পৌরসভার সবগুলি কাজ পাই। কিন্তু মেয়রের পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার দিচ্ছে না। অন্যদিকে আমার লাইসেন্স কালো তালিকাভূক্ত করে রি -টেন্ডার করার চেষ্টা করছেন। এদিকে প্রায় ৭ মাস যাবত পে-অর্ডারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ব্যাংক লভ্যাংশ বাড়ছে এবং নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। উন্নয়ন কাজ গুলিও বন্ধ রয়েছে। অথচ বিগত সময়ে আমার লাইসেন্সে পৌরসভা ১৫ থেকে ২০টি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়রের ছেলেও আমার লাইসেন্সে কয়েকটি কাজ করেছেন।
পৌরসভা ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয় আমি মেয়রের সাথে যোগাযোগ না করে কিছু বলতে পারবো না।
পৌরসভা মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, শান্তা ট্রেডার্স পৌরসভার কয়েকটি উন্নয়ন কাজ না করে জনগনের ক্ষতি করেছে। তাই এ লাইসেন্সটি আমরা কালো তালিকাভুক্ত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি । টেন্ডার বাতিল হয়ে আসলে, রি- টেন্ডার দিয়ে উন্নয়ন কাজ গুলি করা হবে।