রামগঞ্জ কন্ঠ, ২৫ মেঃ করোনার ধাক্কা সামলানোর আগেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে। ভারতের বেশ কয়েকটা রাজ্যেবি অনেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারাও গেছে। এখন প্রশ্ন হলো যাদের করোনা হয়নি তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? চিকিৎসকরা বলছেন সম্ভব। ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি থাকলে তাকে সতর্ক হতে হবে।
ভারতে ইএনটির চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত এই বিষয়ে বললেন, যে কোনও ডায়াবেটিক রোগীর যদি অন্য কোনও গুরুতর অসুখ হয়, তা হলে এই রোগ হওয়া সম্ভব। কোভিড হওয়ার আগেও আমি ৪ থেকে ৫ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগীর চিকিৎসা করেছিলাম। কিন্তু সেটা বহু আগে। এই রোগ তেমন দেখা যেত না। তবে করোনা আসার পর থেকে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ঝুঁকি বেশি।
চিকিৎসক ভি কে পাল এ বিষয়ে জানিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস এবং অন্য কোনও গুরুতর রোগ একসঙ্গে হলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। সেটা কোভিড হোক বা নিউমোনিয়া। রক্তে শর্করা মাত্রা যদি ৭০০-৮০০ পৌঁছে যায়, তা হলে আমরা সেটাকে ডাক্তারি ভাষায় কিটোঅ্যাসিডোসিস বলে থাকি। সে রকম পরিস্থিতিতে শিশু বা বড়, যে কোনও বয়সের মানুষের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হতে পারে। তার উপর করোনা চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের উপর। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ হয়ে উঠেছে। তবে এক কথায় বলতে গেলে, করোনা ছাড়াও এই রোগ হওয়া সম্ভব, বললেন ভি কে পাল।
সূত্র : আনন্দবাজার