নিজস্ব প্রতিনিধি,রামগঞ্জ কন্ঠ,২৪মেঃঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে রক্ষা পেতে লক্ষ্মীপুরে ১০৯টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। আর দুর্যোগের আগে ও পরে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জেলা-থানা পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ হটলাইন নম্বরগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। নম্বরগুলো জনসাধারণের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মে) বিকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
তিনি আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্রচারণা (মাইকিং) চালিয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। দুর্যোগ মুহূর্তে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ২৭৯ মেট্রিক টন চাল, ২৪ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল সভায় জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ড. আব্দুল গফ্ফারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মেঘনা নদী উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এ জেলার সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলা মেঘনা নদী ঘিরে আছে। রামগতি ও কমলনগর থেকে মেঘনা নদী হয়ে বঙ্গোপসাগর কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
এতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন মেঘনা নদীবেষ্টিত। এ ইউনিয়নটি দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।