নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগঞ্জ কন্ঠ, রামগঞ্জ, ২৪ মেঃ পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলার প্রধান আসামী লহ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহসচিব এমএ আউয়ালের বিরুদ্ধে তার নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুরে জোর করে অন্যের জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, লায়ন এমএ আউয়াল ২০১৪ ইং সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কয়েকমাস পরই রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর ৪৫ নম্বর মৌজায় ১৪শত ও ১৪শত ০৩ এবং ১৪শত ০৭ নম্বর দাগে হিন্দু ধর্মালম্বী সোনাপুর নাফিত বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা হারাদন চন্দ্র শীলের ১৭ শতাংশ মূল্যবান জমি দখল করেন। হারাদন চন্দ্র শীল মারা যাওয়ার পর তার কোন ওয়ারিশ না থাকায় আউয়ালের একান্ত সহকারি ফরিদ আহম্মেদ বাঙ্গালী ও শেখ মিজান সুকৌশলে হারাদন চন্দ্র শীলের দু:সম্পর্কের মামাত ভাই নারায়নপুর শীল বাড়ির রাধারাম শীলকে ওয়ারিশ সাজিয়ে রেজেষ্টারী করে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই জমি দখলে নেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে উক্ত সম্পতি হিন্দ কল্যান ট্রাষ্টের দাবি করে হরিসভা বাড়ির সুধাংশ মাষ্টার, বনিক বাড়ির কেশব বনিক, মাধম বনিক আদালতে মামলা করেন যাহা এখনও চলমান।
সুধাংশ বনিক জানান, হারাধন চন্দ্র শীল পরলোক গমন করার পূর্বে তার কোন ওয়ারিশ না থাকায় সোনাপুর ৪৫ নম্বর মৌজায় উক্ত দাগে ১৭ শতাংশ অধিক মূল্যবান জমি হিন্দু কল্যান ট্রাষ্টে রেজেষ্টারি করে দিয়ে যান। আউয়াল সাহেব সংসদ সদস্য হয়ে অন্য কাউকে ওয়ারিশ বানিয়ে ওই জমি পূনরায় রেজেষ্টারী করে তার বাহিনী দিয়ে জবরদখল করে রেখেছেন।
এমএ আউয়ালের ততকালিন একান্ত সহকারি মিজানুর রহমান জানান, ততকালিন পৌর তরিকতের নেতা রফিকুল ইসলামের মাধ্যামে এম এ আউয়ালএ জমির খরিদ করার পর সুধাংশরা মামলা করেছে । পরে কিভাবে সমাধান হয়েছে এটা আমার জানা নাই।
এই ব্যপারে জমির মধ্যস্থতাকারী তরিকত নেতা রফিক জানান, এখানে জমি মোট ১৪৭ শতাংশ তার মধ্যে এমপি আউয়ালের দখলে ১৭ শতাংশ। মামলা চলমান থাকলেও সুধাংশকে আমরা কিছু টাকা দিয়েছি সমাধানের জন্য আশা করি অচিরে সমাধান হবে।
সোনপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফায়সাল মাল ও পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক অপু মাল জানান, এমপি থাকাবস্তায় আউয়াল সাহেব হারাদন শীলের এ জমি জবরদখল করেছেন। তার লোকজন রামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এ রকম আরো অনেক জাগা দখল করেছেন। এখন তার গ্রেপ্তারে রামগঞ্জবাসী আনন্দিত।