নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগঞ্জ কন্ঠ, রামগঞ্জ, ২৩ মেঃ
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালের সহকারী ফরিদ আহম্মেদ বাঙ্গালী ও শেখ মিজানুর রহমান অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ তাদের নামে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
তারা টি-আর, কাবিখা, কাবিটা, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে এবং প্রাইমারি স্কুলের নৈশ প্রহরী নিয়োগ ও মানুষের সম্পত্তি দখলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে হয়েছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক।
এমএ আউয়াল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে রামগঞ্জ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হয়েই তার একান্ত সহকারী হিসেবে ফরিদ আহম্মেদ বাঙ্গালী, শেখ মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেন। আউয়াল সহকারী পরিচয় দিয়ে টি-আর, কাবিখা, কাবিটা, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, গভীর নলকূপ, প্রাইমারি স্কুলের নৈশ প্রহরী নিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
চণ্ডিপুরের মোরশেদ, দরবেশপুরের আবু তাহের, লামচরের বাচ্চু অভিযোগ করেন, আউয়াল ক্ষমতা ছাড়ার ৬ মাস আগে তার সহকারীরা সাড়ে ৩ শত হতদরিদ্রকে সরকারি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে প্রতি ঘরে ১ লাখ টাকা করে সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচনে আউয়াল মনোনয়ন না পাওয়ায় ঘর তো দূরের কথা আসল টাকা কেউ ফেরত পায়নি। এমনকি তারা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা বলে ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
আউয়ালের একান্ত সহকারী সচিবের চাকরিতে যোগ দিয়ে ফরিদ আহম্মেদ বাঙ্গালী ঢাকার নাখালপাড়ায় দুটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, চট্টগ্রামে দুটি আবাসিক হোটেল, সিপি (ফাইভ স্টার) দুটি শাখা, স্টুডিওসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন। আরেক সহকারী শেখ মিজান পৌর শহরের সোনাপুর বাজারে করেছেন বিলাস বহুল বাড়িসহ অনেক সম্পদ।
এ ব্যাপারে ফরিদ আহম্মেদ বাঙ্গালীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। আরেক সহকারী শেখ মিজান জানান, ঘরের বিষয়টি ফরিদ বাঙ্গালী দেখেছে। আর এমপির প্রধান সহকারী হিসেবে ফরিদ বাঙ্গালীই সব দেখাশুনা করতেন। সোনাপুরে আমার যে বাড়িটি আছে সেটি গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে করেছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, আউয়াল এমপি থাকাকালীন আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করেছি আমরা।