নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামে আজ রবিবার সকাল ৮টায় নাছরিন আক্তার মৌসুমী নামের একগৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ঘাতক রাছেল গ্রামবাসীর গনপিটুনিতে মারা যায়৷
নাছরিন আক্তার মৌসুমী(৪০) জাফরনগর ভূইয়া বাড়ির প্রবাসি সফিকুল ইসলাম আবুর স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী৷ ঘাতক রাছেল একই গ্রামের মোল্লা বাড়ির ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও ৩ সন্তানের জনক৷
থানা পুলিশ দুই জনের লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর মর্গে প্রেরন করেন৷
সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী নাছরিন আক্তার মৌসুমির সাথে মোবাইল ও ফেইসবুকের মাধ্যমে রাছেলের সম্পর্ক তৈরী হয়৷ এ সুবাধে একজন অপর জনের সাথে যোগাযোগ, যাওয়া আসা হত৷ এরই মাঝে মোসুমীদের ঘরে চুরি ঘটনা ঘটে৷ উক্ত চুরির ঘটনায় রাছেলকে দায়ী করা হয়৷ এতে তাদের মাঝে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়৷
আজ রোববার সকাল ৮টায় রাছেল গৃহবধু মৌসুমী ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৌসুমীকে হত্যা করে। এ সময় মৌসুমী ছেলে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী রাছেলকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে রাছেল মারা যায়৷
নাছরিন আক্তার মৌসুমীর মেয়ে উম্মে হাবীবা ছিনতিয়া, সৌরভী জানান, রাছেল তাদের মাকে টেলিফোনে বিরক্তি করতেন এবং তাদের নতুন বাড়িতে চুরির ঘটনায় রাছেলকে অভিযুক্ত করায় সে তাদের মাকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাছেলের স্ত্রী রুমা আক্তার, মা আফিয়া খাতুন জানান, রাছেল একজন দিনমজুর। নবজাতকসহ তিনি তিন সন্তানের জনক। নাছরিন আক্তার মোসুমী তার সাথে রাছেলের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে৷ ফেইসবুকে নাছরিনের একটি ছবি পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়৷
রামগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র দাস জানান, লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হযেছে৷ এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷