নিজস্ব প্রতিনিধি,রামগঞ্জ কন্ঠ,১৬মেঃ লকডাউনের মধ্যেও ঈদকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর ঘাটগুলো কেন্দ্রিক এলাকাতে নানা বয়সি মানুষের উপচে পড়া ভীড় শুরু হয়েছে ঈদের দিন থেকে। জেলার রামগতির আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়, কমলনগরেরর মতিরহাট, মাতব্বরহাট এবং রায়পুরের আলতাফ মাস্টার ঘাটে এখন লোকে লোকরাণ্য।
এতদিন এ ঘাটগুলো সাধারণ মানুষের বিনোদনের জায়গা হলেও বর্তমানে উচ্ছৃঙ্খল তরুণ, মাদক সেবি, মাদক ব্যবসায়ী, জুয়া খেলোয়াড়দের আড্ডা খানায় পরিণত এ হয়েছে এ সকল জায়গা।
নদী পাড়ে এসে অনেক যুবক এখানে সেখানে বসে দল বেধে মোবাইলে ইন্টারনেট জুয়া খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। এমন উচ্ছৃঙ্খল তরুণদের ভয়ে আতংকে থাকছে সাধারণ দর্শনার্থী ও এলাকার মানুষ। উচ্ছৃঙ্খল তরুণরা মেয়েদের না কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেও দেখা গেছে। প্রতিবাদ করলে অনেক তরুণরা দল বেধেঁ একাএকি দর্শনার্থীদের বিরুদ্ধে তেড়ে আসে।
আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়ে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী নিজাম হাওলাদার বলেন, ‘একটু যে আরামে কোথাও ঘুরে বেড়াবেন, তারও কোনো উপায় নেই। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন বখাটেদের উৎপাত বাড়ছে। ঝামেলা এড়াতে এসব উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতেও চান না।’
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি বছর গুলোর মতো এবার করোনার দু;সময়েও ঈদ আনন্দের নামে লক্ষ্মীপুর জেলায় ভিন্ন রকমের বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে তরুণরা। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিনোদনের নামে খোলা ট্রাকের উপর ডিজে গানের তালে তালে নাচছে, সং সেজে পথচারীদের কে ভয় দেখাচ্ছে এবং উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্র ও ভুভুজিলা বাজিয়ে চারদিকে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করছে। অন্যদিকে আরো কিছু তরুণ মোটরসাইকেলে ৪-৫জন নিয়ে ভিন্ন স্টাইলে স্ট্যান প্রর্দশন করছে। অনেকের মোটরসাইকেলে ভয়ংকর শব্দ করছে। এতে একদিকে যেমন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদিকে ঈদে সুস্থ্য বিনোদনে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
অনেকে মোটরসাইকেলে ৩-৪ জন, মিনি ট্রাকে ২০-৩০ জন ঝুকি পূর্ণভাবে নদীপাড়ে আড্ডায় লিপ্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদে অনেকে প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঘুরতে যায়। যা আবহমান কাল দরে বাঙালি মুসলিম কমিউনিটির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজ বিকৃত বিনোদনকে বেছে নিয়েছে। স্থানীয়রা তরুণদের এমন উচ্ছৃঙ্খলতা বন্ধ করতে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দাবী করছেন।