পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার সর্ববৃহৎ জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা এ জশনে জুলুছের আয়োজন করে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বনরূপা জামে মসজিদ থেকে জশনে জুলুছ শুরু হয়ে কাঁঠালতলী, পৌরসভা, দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব ঘুরে রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদে গিয়ে শেষ হয়। রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও কলেমা খচিত পতাকা নিয়ে জুলুছে যোগদান করেন নবীপ্রেমীরা।
জশনে জুলুছের নেতৃত্ব দেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মাওলানা আবদুল ওয়াজেদ। জুলুছ শেষে রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদে আলোচনা সভা হয়। জেলা গাউছিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আলহাজ জসিম উদ্দিন নুরীর পরিচালনায় হাজি মো. মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু সৈয়দ। সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু নওশাদ নঈমী, সংগঠনের সাবেক সভাপতি হাজি জানে আলম সওদাগর, আবদুল হালিম ভোলা সওদাগর, শান্তিনগর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম আল ক্বাদেরী, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কারি ওসমান গনি চৌধুরীসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদের খতিবরা।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজির (সা.)শুভাগমনে আল্লাহপাক ফেরেশতাদের নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এ ছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, এ জুলুছ নতুন কিছু নয়। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে, এটা নবীপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।