রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসান আহম্মেদ নিজের সুদের টাকার অবৈধ লেনদেনকে ধামাচাপা দিতে গিয়ে এবার তার আপন শালা এমদান হোসেন শোভনকে দিয়ে মাকছুদ আলম নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় ২৪জুলাই দায়েরকৃত ওই মামলার বাদী এমদাদুল হক রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এক ভূয়া প্যাড ব্যবহার করে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির সই-স্বাক্ষর নিয়ে ৬লক্ষ ১২হাজার ৫৪০টাকা পাওনা নিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে কৃষি কর্মকর্তা হাছান তার পছন্দমত ব্যাক্তিদের নিয়ে উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের সমিতির বাজারে রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ ২০১১ইং সালে ১০/১২ জন মিলে একটি মাল্টিপারপাস গড়ে তোলে। পরে সভাপতি হাবিব ও সাধারন সম্পাদক হাসান নিজেই ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ নয় ছয় করার কারনে তখন ওই বছরই ৫মাসের মাথায় রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির স্থবির হয়ে পড়লে টোটাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
২৮ আগষ্ট (শনিবার) সরেজমিনে এই সোসাইটির কার্যক্রমের খোজ খবর নিতে গেলে ঘটনার সতত্যা পাওয়া যায়।
এদিকে শালা দুলাভাইয়ের এমন কর্মকান্ডে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর মিয়াজী বাড়ির মৃত আঃ হাই এর ছেলে বর্তমানে রামগঞ্জ পৌরসভা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাছান আহম্মেদ দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন লোকজনের কাছে প্রতি লাখে ৫হাজার টাকা বিনিময়ে অবৈধ সুদের ব্যবসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। এভাবে উপজেলাব্যাপী বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নিরীহ লোকজনের অভাবকে পুজি করে ওই সরকারী কর্মকর্তা লাখ লাখ টাকা দিয়ে মাস শেষে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। এরই ধারা বাহিতকতায় ব্যববসায়ী মাকছুদ আলমকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সুদে টাকা দেয়। পরে সুদের হার বাড়িয়ে দিয়ে টাকা পরিশোদের জন্য চাপ দিলে ওই ব্যবসায়ী ব্যাংকের মাধ্যমে সকল টাকা পরিষদ করে দেয়। কিন্তু কৃর্ষি কর্মকর্তা হাসান তার নিজ শালা এমদাদ হোসেন শোভনকে দিয়ে রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে ভূয়া প্যাড ব্যবহার করে ব্যবসায়ী মাকছুদের কাছে ৬লক্ষ ১২হাজার টাকা ৫৪০টাকা পাবে বলে আদালতে মামলা করে।
এ ব্যাপারে তৎকালীন রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্য অলি আহম্মেদ বেপারী জানান, ২০১১ইং সনে হাবিব/হাছান ও আমিসহ ১০/১২জনকে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করার ৫মাস পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রামগঞ্জ রেখা সুপার মার্কেট বা অন্য কোনস্থানে ওই সোসাইটির কোন কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।
ব্যবসায়ী মাকছুদ আলম জানান, রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি কোথায় কিভাবে গঠন করা হয়েছে এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। সোসাইটির ভূয়া প্যাড এবং সই-স্বাক্ষর নাম বিহীন কাগজপত্র তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। মুলত হাছান সরকারী কর্মকর্তা হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সুদের কারবার পরিচালনা করে আসছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সকল ব্যাংকে তার একাউন্ট তদন্ত করলেই তার অবৈধ টাকার লেনদেন প্রকৃত পরিসংখ্যান বের হয়ে আসবে।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাছান আহম্মেদ জানান, রংধনু মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির কার্যক্রম ২০১৯ সাল পর্যন্ত চালু ছিলো। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সাথে কথা বলেন। আপনি কে, আমাকে ডিস্টাব করছেন কেনো। আমি অপনার সাথে কোন কথা বলতে রাজি নই।
মামলার বাদী হাছান আহম্মদের শালা মোঃ এমদাদুল হক জানান, আমি দুরে আছি। এখন আমি কথা বলতে পারবোনা।