নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগঞ্জ কন্ঠ, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৯লাখ ১০হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় মোঃ নুরআলম (৪৫)নামে এক প্রতারককে কারাগারে পাঠিয়েছেন লক্ষ্মীপুর চেম্বার জজ আদালত। ১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রামগঞ্জ) আমলী আদালতের বিচারক আনোয়ার উল কবির তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিবাদী মোঃ নুরআলম রামগঞ্জ উপজেলার ১০নং ভাটরা ইউপির বিষ্ণপুর ৪নং ওয়ার্ড (পাটায়ারী বাড়ির) মৃত আমিন উল্যাহর ছেলে। সে একজন চিহ্নিত প্রতারক। তার বিরুদ্ধে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মানুষের সাথে একাধিক প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী তৌহিদুল ইসলাম কবির কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বিবাদী নুরআলমের সাথে পরিচয় হয়। তারই সুবাদে বিবাদী নুরআলম বাদী তৌহিদুল ইসলাম কবিরের বাড়ীতে বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করায় তাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরবর্তীতে বিবাদী নুরআলম বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাহার ব্যবসায়ের মূলধন বৃদ্ধি করার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে তাহা পরিশোধ করবে বলে বাদী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কবিরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকা। একসময় নুরআলম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘুটিয়ে আতœগোপন করে।
পরবর্তীতে সে রামগঞ্জে আসলে সর্বশেষ ২০২২ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখি বিভিন্ন সাক্ষীগনের উপস্থিতিতে তাহার সাথে বসলে সে ১৯ মার্চ টাকা পরিশোধ করবে বলে ৩০০টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে অঙ্গীকার করে। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করে উল্টো বাদী তৌহিদুল ইসলাম কবিরকে নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি ধমকি প্রদান করতে থাকে। পরবর্তীতে বাদী সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম কবির নিরুপায় হয়ে আদালতের সরনাপন্ন হন।
রামগঞ্জে ডিলারসীপ ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল, সেলিম পাটোয়ারী, মোঃ মনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জানান, শেয়ার ব্যবসা বানিজ্যের কথা কথা বলে আমাদের কাছ থেকে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মোঃ খোরশেদ আলম জানান, বাদী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কবির মোঃ নুরআলমের কাছে ০৯ লক্ষ ১০হাজার টাকা পান। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তিনি টাকা দেননি। এসংক্রান্ত মামলায় আদালতে হাজিরা ছিল। বাদী টাকা দিতে অপারগতা করায় বিজ্ঞ আদালত নুরআলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।