লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসএসি সুমনের অপচিকিৎসায় আক্তার হোসেন নামের এক রোগী তার পায়ের আঙ্গুল হারানোর অভিযোগ করেন।
আজ রবিবার (২০ মার্চ) সকালে রামগতি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভূক্তভোগী এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সে তার পায়ের নকের পাশের চিপা নিয়ে চিকিৎসার জন্য শরানাপন্ন হন এ এস এম সুমন নামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের। সে তার পায়ের চিপার চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীর ভাল কাচা নকটি উপড়ে ফেলেন। এতে তার সেখানে দেখা দেয় পচন। এক পর্যায়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল গিয়ে পায়ের সেই বুড়ো আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে তার পায়ের পচন অব্যাহত থাকায় সে চরম শারিরীক অশান্তি, মানষিক কষ্ট ও আর্থিক সংকটে পড়েছেন। কথিত ডাক্তার সুমন বিগত এক বছরে ভূক্তভোগীর কাছ থেকে চিকিৎসার খরচের নামে ধাপে ধাপে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন। সুমন বর্তমানে চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছে।
বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন, সাব-এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুমন তার পায়ের ভূল চিকিৎসা করে তার অঙ্গহানী করেছেন। তাকে প্রায় এক বছর ধরে রেখে চুষে খেয়েছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কোন যোগ্যতা না থাকা স্বত্তেও প্রতারণার মাধ্যমে ভূল চিকিৎসা দিয়ে বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসার নামে টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক সুমন। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী আক্তার লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ন্যায় বিচার ও ক্ষতিপূরনের দাবীতে মামলা করেন। যার নং-সিআর ৮২/২০২২।
এ দিকে আদালত লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জনকে ফয়িয়াদির কেস ষ্টাডি পর্যালোচনা করে চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ বিবরণী আদালতে দাখিলের আদেশ দেন। ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন রামগতি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সুজায়েত উল্যা মিয়ার ছেলে।
এসময় ভূক্তভোগী আক্তার প্রতারক সুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার অঙ্গহানীর ক্ষতিপূরণ দাবী জানান।
অপচিকিৎসার বিষয়ে এসএসি মেডিকেল অফিসার সুমনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন।
উক্ত সম্মেলনে রামগতি উপজেলায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।