মোঃ আরিফ হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে(৭০)বছর বয়সী সাত সন্তানের পিতা বৃদ্ধার যৌন লালসার শিকার হয়েছে নয় বছর বয়সী এক কন্যা শিশু।
আজ রবিবার সকাল দশটার সময় উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সরকারি পুকুর পাড় এলাকা খোতেজার বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
লম্পটের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাকে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছেন।
এলাকার স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় এলাচ মিয়ার বাড়ির সুমনের ৯বছরের শিশুকন্যা টি খেলতে গেলে স্থানীয় মোস্তফা (৭০) মেয়ে শিশুটির হাতে চকলেট ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে ঘরের ভিতরে ডেকে নেয়। এরপর মুখ চেপে ধরে যৌন নির্যাতন করেন। শিশুটির চিৎকারে ধর্ষক মোস্তফার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে কন্যাশিশুটিকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়।
যৌনতার শিকার শিশুর দাদি লুৎফা বেগম জানিয়েছেন, বাচ্চা শিশুটির বাবা সুমন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, কাজকর্ম করতে পারে না। সে কারণে শিশু নাতনিকে ঘরে রেখে সংসারের অভাবের কারণে বাচ্চাটির মা নারী শ্রমিক হিসাবে ইটের ভাটায় মাটি কাটার কাজে চলে যান। প্রতিদিনের মত খেলাধুলা করতে বের হলে হাতের চকলেট দিয়ে কৌশলে মোস্তফা তার নাতিনকে ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে।
পরে চিৎকার শুনে লম্পট মোস্তফার স্ত্রী হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় আশেপাশের লোকজন চলে আসলে দৌড়ে পালিয়ে যায় মোস্তফা। পরে উৎসুক জনতা শিশুটির শরীরে যৌনতার প্রমাণ পায়। তিনি শিশু নাতনিকে নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।
মোস্তফার স্ত্রী খতিজা বেগম জানান, পান খুঁজতে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় শিশু বাচ্চার চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা খুলে শিশুটিকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান।
খাদিজা বেগম পরে চিৎকার চেচামেচি করলে লোকজন এসে জড়ো হয়। এমন সময় তার স্বামী মোস্তফা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এমন অমানুষিক ন্যক্কারজনক ঘটনায় অন্যদের মতো তিনিও তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিচার দাবি করেন।
এলাকার স্থানীয় জসিম উদ্দিন,ফাতেমা বেগম,রাবেয়া বেগম,এবং জোসনা বেগম জানান, শিশুটির শরীরে নির্যাতনের প্রমাণ দেখে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে ওঠে তাদের। তারা মানুষরূপী জানোয়ার মোস্তফার বিচার দাবি করেন| এ বিষয়ে ৪নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন জানিয়েছেন, শিশুটিকে নির্যাতন করার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। তিনি মোস্তফার স্ত্রী ও আশেপাশের লোকজন থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, বিষয়টি কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রমাণ পেলে উপযুক্ত বিচার করবেন তিনি।
কমলনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।