মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কবির, রামগঞ্জ কন্ঠ, রামগঞ্জঃ রাজধানীর গুলিস্থানে সিটি করপোরেশনের গাড়ীর ধাক্কায় নিহত হওয়া নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈমের (১৭) স্বপ্ন ছিল বিচারপতি হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ পেলোনা মেধাবী ছাত্র নাঈম। সিটি কর্পোরেশনের গাড়ীর ধাক্কায় অকালেই প্রান গেলো তার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর পূর্ব কাজিরখীল দেওয়ান বাড়ীতে গেলে তার পরিবারকে আহাজারি করতে দেখা যায়। এসময় তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাঈম ছোটবেলা থেকেই খুবই মেধাবী এবং আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
সে পিএসসি, জেএসসি এবং এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিলো। তার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো সে বিচারপতি হবে। কিন্তু তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা।
আজ সকাল ৮টায় উপজেলার সমেষপুরে নাঈমের নানার বাড়িতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে কাজিরখিলের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নাঈমের বাবা
নাঈমের মামা কুমিল্লা মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক ফারুক হোসেন ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রভাষক ফরিদ আহম্মেদ ঘাতক গাড়ীচালকের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন।
রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্ছু বলেন, ছোট থেকে মেধাবী ছাত্র ছিল নাঈম। তার মৃত্যুতে শুধু রামগঞ্জবাসীর ক্ষতি হয়নি রাষ্ট্র হারিয়েছে অমূল্য সম্পদ। এসময় তিনি আরো বলেন, ঘাতক গাড়ি চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
উল্লেখ্যঃ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্থানের সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৭) নিহত হন। জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের আরও জানান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমান্ডার সিতওয়াত নাঈমকে আহবায়ক এবং মহা-ব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিছুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএনসিসি।