নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগঞ্জ কন্ঠ, রামগঞ্জঃ করোনা মহামারিতে শতাধিক লাশ দাফন করে প্রসংশায় ভাসছেন একজন মানবিক শিক্ষক সেলিম হোসেন। করোনায় আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা যখন অক্সিজেন খুঁজে বেড়ান ঠিক তখনই তাদের পাশে নোয়াখালী পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংক ও ট্যাক্স টাউন গ্রুপ এর সহয়তায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেবা গ্রহীতাদের পাশে দাঁড়ান রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শোশালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন।
এছাড়াও করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে কোথাও করোনা কিংবা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হলে লাশের গোসল, জানাজা ও দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েন পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীদের চাপের মধ্যে গৃহবন্দীও হয়েছেন মৃত ব্যক্তির স্বজনরা। লাশ নিয়ে দুর্বিষহ রাত কাটাতে হয়েছে তাদের। লাশ দাফন না করানোর জন্যও হুমকি দেয়া হয় মৃতের পরিবারকে। লাশ বহনের খাট নিয়েও শুরু হয় হয়রানি। এ অবস্থায় রোদ- বৃষ্টি- ঝড়সহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে ৫জন সদস্য কাজ করছেন উপজেলায় লাশ দাফনের কার্যক্রমে।
মো. সেলিম হোসেন বলেন, আমরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া প্রায় শতাধিক মৃত ব্যাক্তির লাশ দাফন করেছি। যেখানেই করোনা আক্রান্ত রোগী শ্বাসকষ্ট ভুগছেন আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে গিয়ে অক্সিজেন সেবা দিয়ে আমাদের সাধ্যমত সেবা করার চেষ্টা করেছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক আবু তাহের বলেন, শিক্ষক সেলিম একজন উদার মনের মানুষ। করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের দাফন ও আক্রান্ত ব্যাক্তিদের অক্সিজেন সরবরাহ কাজে তার এমন মানবিক কাজ বেশ প্রশংসার দাবিদার।
৩নং ভাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন ভূইয়া ও ৭নং দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের দাফন ও আক্রান্ত ব্যাক্তিদের অক্সিজেন সরবরাহ কাজে শিক্ষক সেলিমের এমন মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এছাড়াও ভবিষ্যতে ওই মানবিক শিক্ষককে তার এমন কর্মকাণ্ডের জন্য পুরস্কৃত করে ভবিষ্যতে তাকে উৎসাহ প্রদানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।